Sajek Velley


 

 * সাজেক রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত  সাজেক হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন যার আয়তন ৭০২ বর্গমাইল সাজেকে প্রবেশের আগেই পড়বে সাজেকের প্রথম গ্রাম রুইলুই পাড়া যার উচ্চতা ১৮০০ ফুট এর প্রবীণ জনগোষ্ঠী লুসাই  এছাড়া পাংকুয়া  ত্রিপুরারাও বাস করে 

সাজেকের বিজিবি ক্যাম্প বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উঁচুতে অবস্হিত বিজিবি ক্যাম্প এখানে হেলিপ্যাড আছে | সাজেকের শেষ গ্রাম কংলক পাড়া কংলক পাড়া থেকে ভারতের লুসাই পাহাড় দেখা যায়  কংলাক পাড়া সাজেকের সবচেয়ে উচু পাড়া 



  • কিভাবে যাবো সাজেক ?
খাগড়াছড়ি থেকে আপনি তিন মাধ্যমে সাজেক পৌছাতে পারবেন  চান্দের গাড়ী,সিএনজি এবং মটরসাইকেলে 



  • সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো খাগড়াছড়ি শহর বা দীঘিনালা উপজেলা শহর থেকে জীপগাড়ি (লোকাল নাম চাঁন্দের গাড়িরিজার্ভ নিয়ে ঘুরে আসা  ভাড়া নিবে পুরাতন চান্দের গাড়ী ৫০০০-৬০০০ টাকা আর নতুন মাহিন্দ্রাগুলো ৭০০০-৮০০০ টাকা , এই টাকার মধ্যে আপনি যাবেন তারপর রাত কাটাবেন গাড়ী আবার আপনাকে নিয়ে আসবে বুঝা গেছে ব্যাপারটা ?  এক গাড়িতে গাড়ীর সাইজ অনুযায়ী দশ থেকে ১৫ জন বসতে পারবেন  যদি খাগড়াছড়ির আলুটিলা ,রিসং ঝর্না ,ঝুলন্ত ব্রিজ সহ এগুলোও ঘুরতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে চান্দের গাড়ী ১০০০-১২০০ টাকা ভাড়া বাড়বে:)


  • এছাড়াও মটরসাইকেলে করে সাজেক ঘুরে আসতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে খাগড়াছড়ি শহর থেকে দীঘিনালা যেতে হবে তারপর সেখান থেকে মটরসাইকেলে সাজেক ঘুরে আসতে পারবেন এক মটরসাইকেলে ড্রাইভার সহ তিনজন বসতে পারবেন ভাড়া আসা যাওয়া রিজার্ভ ১০০০-১২০০ টাকা (দামদর করে নিবেন কম বেশি হতে পারে)
কোথায় থাকবেন ও ভাড়াঃ
অস্হির হবেন না বলে দিচ্ছি:) সাজেকে আপনি রাতে থাকতে পারবেন এবং আমি আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছি থাকুন একটা রাত অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা হবে আপনার সাজেকে থাকার জন্য বেশ কিছু ভালো মানের রিসোর্ট আছে যাতে আপনি নিশ্চিন্তে নিরাপদে পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে থাকতে পারবেন আছে নিরিবিলি কটেজ ,লুসাই কটেজ ,নিসর্গ কটেজ যা থেকে মেঘ এর ভিউ ভালো পাওয়া যায় এগুলো ছাড়াও আলো রিসোর্ট ,জলরিসোর্ট সহ ছোট খাট আরও অনেক কটেজ ওখানে রয়েছে:) রয়েছে উপজাতিদের ঘর বাড়ী যেখানে থাকাও খাওয়ার ব্যবস্হা রয়েছে 


এসব কটেজ ছাড়াও ভিআইপি কিছু রিসোর্ট রয়েছে যেমনঃ 
সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে আছে সাজেক রিসোর্ট যার ভাড়া ১০-১৫ হাজারের মধ্যে  বুকিং নাম্বার : ০১৮৫৯০২৫৬৯৪ ,


আছে রুন্ময় রিসোর্ট যার ভাড়া রুম প্রতি ৪৫০০-৫০০০ টাকা ,যোগাযোগ : ০১৮৬২০১১৮৫২

যাবার আগে ফোন দিয়ে বুকিং করে যেতে পারেন কারণ ছুটির দিনগুলোতে ভালো ভালো সবগুলো কটেজ  রিসোর্ট বুকড করা থাকে:) তবে এগুলো ছাড়াও অনেক কটেজ খালী পাবেন সমস্যা নেই...।

* খাওয়ার ব্যবস্হা

ওখানে রিসোর্টগুলোতে বললে আপনাকে পছন্দমত রান্না করে দিবে সেক্ষেত্রে প্রতিবেলা প্রতিজন ১০০-১৫০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে মেনু হিসেবে পাবেন ভাত আলুভর্তা ,মুরগীর মাংশ ইত্যাদি তবে চাইলে রাতে ওরা বারবি কিউ করে দিবে:) যাবার দিন আগে আগে ফোন করে খাবারে কথা বলে রাখবেন তাহলে উনারা খাবারের ব্যবস্হা করে রাখবে:) আর হ্যাঁ ফল পাবেন খুব সস্তায় সেখানে পেঁপে,আনারস,কমলা,কলা এগুলো অনেক সস্তায় পাবেন  পেট আর মন পুরে খেতে ভুলবেন না যেন:)

যারা এডভেঞ্চার পছন্দ করেন তারা সাজেক এর অপরুপ সৌন্দর্য্য দেখা ছাড়াও দেখে আসতে পারেন কমলক ঝর্নাসাজেকে এর রুইলুই পাড়া থেকে দুই থেকে আড়াই ঘন্টার ট্রেকিং করে দেখে আসতে পারেন সুন্দর এই ঝর্নাটিবুনো রাস্তা আর ৮০-৮৫ ডিগ্রি খাড়া পাহাড় বেয়ে নামতে আর উঠতে হবে অনেক খানি তারপর ঝিরিপথ পাবেনঝিরিপথ ধরে এগিয়ে আবার উঠতে হবে কিছুটাএইভাবে আরো কিছুক্ষন ট্রেক করার পর পৌছে যাবেন ঝর্নার কাছে ঝিরিপথ টিও অসম্ভব সুন্দরএডভেঞ্চারটি ভালো লাগবে আশা করি রাস্তাটি বর্ষার সময় খুব পিচ্ছিল থাকে তাই খেয়াল রাখবেন চলার সময় গাইড রুইলুই পাড়া থেকে ঠিক করে নিবেনঝর্নার কথা বললেই হবে৩০০-৩৫০ টাকা নিবে


সাজেক থেকে ফেরার সময় 
হাজাছড়া ঝর্ণা , দীঘিনালা ঝুলন্ত ব্রিজ  দীঘিনালা বনবিহার দেখে আসতে পারেন  একদিনে এই সব গুলো দেখতে হলে যত তারাতারি সম্ভব বেড়িয়ে পড়বেন খাগড়াছড়ি শহর থেকে আপনি ঘুরতে পারবেন রিসং ঝরনা এবং আলুটিলা গুহা সিএনজি বা বাসেই চলে যেতে পারেন এই দুই স্পটে চাইলে চান্দের গাড়ীর সাথে এভাবে রিজার্ভ করতে পারেন যে সাজেক থেকে ফেরার দিন খাগড়াছড়ি আলুটিলা রিসং ঝরনা ঝুলন্ত ব্রীজ এগুলো ঘুরিয়ে দেখাতে হবে সেক্ষেত্রে গাড়ীর রিজার্ভ খরচ এক থেকে দেড় হাজার টাকা বৃদ্ধি পেতে পারে।

* খাগড়াছড়ি কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে শ্যামলী , হানিফ ,ইকোনো ,এস আলম  অন্যান্য পরিবহনের বাসে খাগড়াছড়ি যেতে পারবেন ভাড়া নিবে ৫২০ টাকা শান্তি পরিবহনের বাস দীঘিনালা পর্যন্ত যায় ভাড়া ৫৮০ টাকা এছাড়া BRTC  সেন্টমার্টিন্স পরিবহনের এসি বাস খাগড়াছড়ি যায় 


কোথায় থাকবেনঃ 
খাগড়াছড়িতে থাকার খুব একটা প্রয়োজন হয়না তারপরও খাগড়াছড়ি রাতে থাকতে শহরেই অনেক হোটেল পাবেন:)

এখন আসুন খাগড়াছড়ির ভিন্ন একরুপে যাই:) খাগড়াছড়িতে রিসং ঝরনা ,আলুটিলা ,হাজাছড়া ঝরনা আর সাজেক এগুলো ছাড়াও আপনি অসাধারণ কিছু ঝরণা দেখতে পারবেন সেগুলো হলো সিজুক ,সিজুক ,তৈদুছড়া ,তৈদুছড়া  
চারটার মাঝে সিজুক , এই দুইটা ঝরনা একদিকে আর তৈদুছড়ার দুইটা আরেকদিকে  তবে অবশ্যই অবশ্যই সিজুকের ঝরনাগুলোই সবচয়ে সুন্দর ঝরনা 
সিজুক বা তৈদুছড়ার ঝরনাগুলো দেখতে আপনাকে প্রথমেই দিঘীনালা যেতে হবে সেখান থেকে গাইড নিয়ে তারপর ঝরনাগুলোতে যেতে হবে 

 চাঁন্দের গাড়ীর প্রয়োজন হতে পারে সেই গাড়ী আপনাকে সাজেক যাবার দিকের রাস্তার দিকে নিয়ে যাবে তারপর এক জায়গায় নামিয়ে দিবে সেখান থেকে আপানকে ট্রেকিং করে ঝরনাতে যেতে হবে ,প্রায় এক দেড় ঘন্টা লাগতে পারে সিজুক  ঝরনাতে পৌছাতে সেখান থেকে আধাঘন্টার মতো ট্রেক করলেই পেয়ে যাবেন সিজুক  ঝরনাটি 
 তারপর আবার গাড়ীর কাছে ফিরে এসে আপনাদের প্লানমতো হয়তো সাজেকে চলে যেতে পারেন অথবা দিঘীনালা বা খাগড়াছড়ি ফিরে যেতে পারেন 
তৈদুছড়াতে যেতে চাঁন্দের গাড়ীর প্রয়োজন নেই এটাতে কাছেই সর্বোচ্চ এক ঘন্টা হাটতে হবে দীঘিনালা থেকে 

দীঘিনালাতে থাকার প্রয়োজন হতে পারে সেক্ষেত্রে আপনি দীঘিনালা গেস্ট হাউজে থাকতে পারেনএটি দীঘিনালা শহরের বাস স্ট্যান্ডের উল্টো পাশে অবস্থিত  এটি দীঘিনালার আবাসিক হোটেল গুলোর মধ্যে একটু মানসম্মত  এখানে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে রুম নিয়ে থাকা যাবে 

No comments:

Post a Comment